সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
loading..
- Back to Home »
- আকিদা , ইতিহাস , শরীয়ত »
- # সালতানাতে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চতুর্থ পর্ব।
Posted by :
Unknown
Friday, October 24, 2014
রাসূলে খোদা হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 'র শানে বে- আদবী করা কুফরী।
আল্লাহ-তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে এরশাদ করেন-
يايها الذين امنوا لا ترفعوا اصواتكم فوق صوت النبى ولا تجهروا له بالقول كجهر بعضكم لبعض ان تحبط اعمالكم وانتم لا تشعرون. .
অর্থাৎ, "হে ঈমানদারগণ ! নিজেদের কন্ঠস্বরকে উঁচু করোনা ওই অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র কন্ঠস্বরের উপর, এবং তিনির সামনে চিৎকার করে কথা বলোনা, যেভাবে পরস্পরের মধ্যে একে অপরের সামনে চিৎকার করো, যেন তোমাদের কর্মসমুহ নিষ্ফল না হয়ে যায় আর তোমাদের খবর থাকবেনা।" (সূরা - হুজরাতঃ আয়াত- ২)
উপরোক্ত আয়াতের শানে নূযুলঃ
এ আয়াত হযরত সাবিত ইবনে ক্বায়স ইবনে শাম্মাস (রাঃ)'র প্রসংগে অবতির্ণ হয়েছে। যিনি কিছুটা উচ্চ স্বর শুনতেন এবং নিজেও বলতেন উচ্চ কন্ঠে। তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো যেন দরবারে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এ তার আওয়াজকে নিচু রাখেন। হযরত সাবিত (রাঃ) এ আয়াত শরিফ নাযিল হওয়ার পর ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। তিনি নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে ফেললেন। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে হাজির হলেন না। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত সা'আদ (রাঃ)কে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, সা'আদ (রাঃ)ছিলেন সাবিত ইবনে ক্বাইস (রাঃ)'র প্রতিবেশী। সা'আদ (রাঃ) সাবিত ইবনে ক্বাইস (রাঃ)কে জিজ্ঞাস করলেন, সাবিত (রাঃ) বললেন "আমিতো দোযখী হয়ে গেছি, আমার কন্ঠস্বর উঁচু হয়ে গিয়েছিলো।" হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এ কথা শুনে এরশাদ ফরমালেন, "তাকে বলে দাও! সে জান্নাতি।"
উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়ার পর থেকে সকল সাহাবাগণ এত আস্তে কথা বলা শুরু করলেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক সময় একটি কথা কয়েকবার জিজ্ঞেস করতেন।
মাসায়ালাঃ
১। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে চিৎকার, চেচামেচি করা যাবে না।
২। এমন কোন সাধারণ উপাধিতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সম্বোধন করা যাবেনা যে সকল উপাধি দ্বারা আমরা একে অপরকে সম্বোধন করি। যেমনঃ চাচা, বাবা, ভাই, মানুষ ইত্যাদি। তিনিকে আদাবের সাথে সম্বোধন করতে হবে রাসূলুল্লাহ, হাবীবুল্লাহ, শাফিউল মুজনিবিন, রাহমাতাল্লিল আলামিন ইত্যাদি উপাধিতে।
৩। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি সামান্যতম বে-আদবি করাও কুফরী। কেননা, কুফরীর কারনেই নেকীগুলো বরবাদ হয়ে যায়। আর হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে উচ্চস্বরে কথা বলার ফলে নেকীগুলো বরবাদ হয়ে যায়।
(মনে রাখতে হবে কোন ধরনের অন্যায় কাজের জন্য আমাদের আমলনামায় গুনাহ লিখা হয়; কিন্ত নেকি / সাওয়াব বরবাদ হয়না। শুধুমাত্র যদি কেউ কুফরী করে অর্থাৎ ঈমান হারা হয়ে যায় ; তবেই তার নেকি / সাওয়াবসমুহ বরবাদ হয়ে যায়।)
আল্লাহ-তায়ালা আমাদের সকলকে তাঁর হাবিবের শানে বে- আদাবী মূলক কার্যকলাপ থেকে হেফাজত করুন।এবং তাঁর হাবিবের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি করুন।
আমিন!
চলবে...
আল্লাহ-তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে এরশাদ করেন-
يايها الذين امنوا لا ترفعوا اصواتكم فوق صوت النبى ولا تجهروا له بالقول كجهر بعضكم لبعض ان تحبط اعمالكم وانتم لا تشعرون. .
অর্থাৎ, "হে ঈমানদারগণ ! নিজেদের কন্ঠস্বরকে উঁচু করোনা ওই অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র কন্ঠস্বরের উপর, এবং তিনির সামনে চিৎকার করে কথা বলোনা, যেভাবে পরস্পরের মধ্যে একে অপরের সামনে চিৎকার করো, যেন তোমাদের কর্মসমুহ নিষ্ফল না হয়ে যায় আর তোমাদের খবর থাকবেনা।" (সূরা - হুজরাতঃ আয়াত- ২)
উপরোক্ত আয়াতের শানে নূযুলঃ
এ আয়াত হযরত সাবিত ইবনে ক্বায়স ইবনে শাম্মাস (রাঃ)'র প্রসংগে অবতির্ণ হয়েছে। যিনি কিছুটা উচ্চ স্বর শুনতেন এবং নিজেও বলতেন উচ্চ কন্ঠে। তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো যেন দরবারে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এ তার আওয়াজকে নিচু রাখেন। হযরত সাবিত (রাঃ) এ আয়াত শরিফ নাযিল হওয়ার পর ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। তিনি নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে ফেললেন। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে হাজির হলেন না। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত সা'আদ (রাঃ)কে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, সা'আদ (রাঃ)ছিলেন সাবিত ইবনে ক্বাইস (রাঃ)'র প্রতিবেশী। সা'আদ (রাঃ) সাবিত ইবনে ক্বাইস (রাঃ)কে জিজ্ঞাস করলেন, সাবিত (রাঃ) বললেন "আমিতো দোযখী হয়ে গেছি, আমার কন্ঠস্বর উঁচু হয়ে গিয়েছিলো।" হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এ কথা শুনে এরশাদ ফরমালেন, "তাকে বলে দাও! সে জান্নাতি।"
উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়ার পর থেকে সকল সাহাবাগণ এত আস্তে কথা বলা শুরু করলেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক সময় একটি কথা কয়েকবার জিজ্ঞেস করতেন।
মাসায়ালাঃ
১। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে চিৎকার, চেচামেচি করা যাবে না।
২। এমন কোন সাধারণ উপাধিতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সম্বোধন করা যাবেনা যে সকল উপাধি দ্বারা আমরা একে অপরকে সম্বোধন করি। যেমনঃ চাচা, বাবা, ভাই, মানুষ ইত্যাদি। তিনিকে আদাবের সাথে সম্বোধন করতে হবে রাসূলুল্লাহ, হাবীবুল্লাহ, শাফিউল মুজনিবিন, রাহমাতাল্লিল আলামিন ইত্যাদি উপাধিতে।
৩। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি সামান্যতম বে-আদবি করাও কুফরী। কেননা, কুফরীর কারনেই নেকীগুলো বরবাদ হয়ে যায়। আর হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে উচ্চস্বরে কথা বলার ফলে নেকীগুলো বরবাদ হয়ে যায়।
(মনে রাখতে হবে কোন ধরনের অন্যায় কাজের জন্য আমাদের আমলনামায় গুনাহ লিখা হয়; কিন্ত নেকি / সাওয়াব বরবাদ হয়না। শুধুমাত্র যদি কেউ কুফরী করে অর্থাৎ ঈমান হারা হয়ে যায় ; তবেই তার নেকি / সাওয়াবসমুহ বরবাদ হয়ে যায়।)
আল্লাহ-তায়ালা আমাদের সকলকে তাঁর হাবিবের শানে বে- আদাবী মূলক কার্যকলাপ থেকে হেফাজত করুন।এবং তাঁর হাবিবের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি করুন।
আমিন!
চলবে...