সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
loading..
- Back to Home »
- আকিদা , এস জি এম চিশতী , শরীয়ত »
- # হযরত নবী করিম (সাঃ) হায়াতুন্নাবি এবং সশরীরে জীবিত।
Posted by :
SIRAAJAM MUNIRA
Saturday, July 5, 2014
হযরত নবী করিম (সাঃ) হায়াতুন্নাবি এবং সশরীরে জীবিতঃ
হযরত নবী করিম (সাঃ) অবশ্যই হায়াতুন্নবী এবং সশরীরে জীবিত। তাঁর
শরীর মোবারক মাটির সাথে মিশে যায় নাই। কারণ
নবীগণের শরীর মোবারক ভক্ষণ করা মাটির জন্য আল্লাহ্পাক ‘হারাম’ করে দিয়েছেন। তিনি
অবশ্যই উম্মতের ডাক (যেখান থেকেই হোক) শুনতে পান। এরশাদ
হচ্ছেঃ
অর্থাৎ,
“হে অদৃশ্যের সংবাদদাতা, নিশ্চয়ই আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষীদাতা (প্রত্যক্ষদর্শী বা হাযের-নাযের), সুসংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী রূপে।” (সূরা
- আল-আহযাব : আয়াত - ৪৫)।
সাক্ষীদাতাকে
অবশ্যই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হতে হয়, নচেৎ তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হয় না। এখানে
তাঁকে সাক্ষীদাতারূপে প্রেরণ করা হয়েছে - এর অর্থ হল কেয়ামত অবধি প্রত্যেক উম্মতের কার্যকলাপের তিনি হবেন সাক্ষ্যদাতা। অপর
এক আয়াতে এরশাদ হচ্ছেঃ
অর্থাৎ,
“আমি কেয়ামতের দিন প্রত্যেক উম্মতের জন্য সাক্ষীরূপে তাদের মধ্য হতে একজনকে দাঁড় করাবো। আর
আপনাকে (হে নবী) উহাদের সকলের অর্থাৎ, সকল নবীর পক্ষে সাক্ষীদাতারূপে আনয়ন করব।” (সূরা
- আন্-নাহল : আয়াত - ৮৯)।
অর্থাৎ,
তিনি হবেন কেয়ামত অবধি আগত সর্বকালের, সর্বযুগের এবং সর্বলোকের (সকল উম্মতের) সাক্ষীদাতা। যদি
হায়াতুন্নবীই না হন, তা হলে কী করে তিনি এহেন সাক্ষী দিবেন। এরশাদ
হচ্ছেঃ
অর্থাৎ,
“যারা আল্লাহর রাস্তায় কতল (শহীদ) হয়েছে, তাঁদের মৃত বল না। বরং
তারা জীবিত কিন্তু তোমরা বুঝো না।” (সূরা
- আল্-বাক্বারাহ : আয়াত - ১৫৪)।
যদি
নবীজির একজন গোলাম তাঁর নির্দেশক্রমে আল্লাহর রাস্তায় জীবন বিসর্জন দিয়ে এহেন অমরত্ব লাভ করতে পারে, তাহলে যিনি (হযরত নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)) মনিব, আদেশদাতা এবং সমগ্র সৃষ্টির উৎস, যিনি নূরে মোজাস্সেম, যাকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ্ বলেনঃ
অর্থাৎ,
“হে মুহাম্মাদ! যদি আপনি সৃষ্টি না হতেন তবে বিশ্বভূবন সৃষ্টি হত না। যদি
আপনি সৃষ্টি না হতেন তবে আমার রোবোবিয়াতও প্রকাশ পেত না।” (হাদীসে
কুদ্সী - সেররুল আসরার, মুছতাদ্রেক হাকেম : ২য় খন্ড - ৬১৫ পৃষ্ঠা)।
তিনি
কী করে মৃত হতে পারেন (নাউযুবিল্লাহ)। হযরত
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দেহ মোবারক মাটি ভক্ষণ করতে পারে না বা মাটিতে মিশে যেতে পারে না। হযরত
আবি দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত - হযরত নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমানঃ
অর্থাৎ,
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্ নবীগণের দেহকে মাটির জন্য ভক্ষণ করা হারাম করে দিয়েছেন এবং আল্লাহর নবীগণ জীবিত এবং রিজিকপ্রাপ্ত।” (সুনানে
ইবনে মাজাহ : বাব জিকরে ওফাতুন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম))। এই
হাদীস হতে ইহাও প্রমাণিত হয় যে, হযরত নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবিত বা ‘হায়াতুন্নবী’।
হযরত
নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মতের ডাক অবশ্যই শুনেন। একজন
কাফের যদি তার কবর হতে জীবিতের ডাক শুনতে পায়, তবে যিনি হায়াতুন্নবী এবং সর্বদর্শী তিনি কেন উম্মতের ডাক শুনতে পাবেন না। একদা
হযরত নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) “কালীবে বদর”- এ কাফেরদের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে লাগলেনঃ
অর্থাৎ,
“হে অমুকের পুত্র অমুক, হে অমুকের পুত্র অমুক, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমাদের সম্পর্কে যে ওয়াদা করেছেন তা কী তোমরা সত্য পেয়েছ?”
হযরত ওমর (রাঃ) তথায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরজ করলেন - ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি এই মৃত ব্যক্তিদের সাথে কী করে কথা বললেন ? উত্তরে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমানঃ
হযরত ওমর (রাঃ) তথায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরজ করলেন - ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! আপনি এই মৃত ব্যক্তিদের সাথে কী করে কথা বললেন ? উত্তরে হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ফরমানঃ
অর্থাৎ,
“আমি যা বলেছি তোমরা তাদের চেয়ে তা’ বেশী শুনতে পাও না।” (সহীহ
বুখারী : কিতাবুল জানায়েজ / সহীহ মুসলিম : কিতাবুল জান্নাত / সূরা - আল্-আ’রাফ : আয়াত - ৪৪)
# সংগৃহিত - খারেজি, মৌদুদী, ওহাবিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও তাদের কতিপয় আক্বিদা এবং তার প্রতিবাদ - (লেখকঃ এস জি এম চিশতী)
আহামদুলিল্লাহ প্রমানিত প্রকৃত সত্যকে তুলে ধরার জন্য মোরকবাদ জানাই সু’মহান নবী প্রেমিক লেখক সাহেবকে,যিনি অত্যন্ত সাহসীকতার সহীত প্রকৃত সত্যকে মানব কল্যনে গোটাা মানব জাতির সামনে তুলে ধরেঠছন। বিশ্ব তথ্যকোষ খ্যাত উইকিপিডিয়াত ও যেখানে মিথ্যা দিয়ে ভরে রেখেছে সেখানে ওনাের এই সাহমী পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। লেখক সাহেবের সুস্থতা,এবং দীর্ঘায়ু কামনায় মোঃ আরিফ মিয়া।
ReplyDelete