সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ

Posted by : SIRAAJAM MUNIRA Friday, October 3, 2014



প্রশ্নঃ আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের কবরের উপর গম্বুজ স্থাপন করা, তাদের মাযারের উপর সামিয়ানা টানানো, গিলাফ চড়ানো এবং ঝালর বাতি ও প্রদ্বীপ ইত্যাদি জ্বালানো শরিয়ত মতে বৈধ / জায়েজ কি ?

উত্তরঃ আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের কবরের উপর গুম্বুজ স্থাপন করা, তাদের মাযারের উপর সামিয়ানা টানানো, গিলাফ চড়ানো এবং ঝালর বাতি, প্রদ্বীপ ইত্যাদি জ্বালানো শরিয়ত মতে বৈধ বা জায়েজ ।

দলিলঃ সূরা-তাওবার ১৮নং আয়াত اِنَّمَا یَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللّٰہِ এর তাফসীর করতে যেয়ে তাফসীরে রুহুল বায়ানের মধ্যে আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে-

فَبِنَاءَ الْقُبَّابِ عَلٰی قُبُوْرِ الْعُلَمَاءِ وَالْاَوْلِیَاءِ وَالصُّلَحَاءِ وَوَضَعَ السُّتُوْرَ وَالْعَمَاءِمِ وَالثِیَابِ عَلٰی قُبُوْرِہِمْ اَمْرٌ جَاءِزٌ اِذَا کَانَ الْقَصْدُ بِذٰلِکَ التَّعْظِیْمِ فِیْ اَعْیُنِ الْعَامَّۃِ حَتّٰی لَا یَحْتَقِرُوْا صَاحِبُ ہٰذَا الْقَبْرِ وَکَذَا اِیْقَادُ الْقَنَادِیْلٍ وَالشَّمْعِ عِنْدَ قُبُوْرٍ الْاَوْلِیَاءِ وَالصُّلَحَاءِ مِنْ بَابِ التَّعْظِیْمِ وَالْاِجْلَالِ اَیْضًا لِلْاَوْلِیَاءِ فَالْمَقْصُوْدُ فِیْہَا مَقْصَدٌ حَسَنٌ وَنَذَرَ الزَّیْتَ وَالشًّمْعَ لِلْاَوْلِیَاءِ یُوْقَدُ عِنْدَ قُبُوْرِہِمْ تَعْظِیْمًا لَہُمْ وَمُحَبَّۃً فِیْہِمْ جَاءِزٌ اَیْضًا لَا یَنْبَغِیْ النَّہِیَ عَنْہُ
[تفسیر روح البیان : (سورۃ : التوبۃ ایۃ : ۱۸) جلد ۳ /صفحۃ ۱۶۶۶/ہجری : ۱۴۲۶ ۱۴۲۷ 249 عسائی : ۲۰۰۶ / بیروت 249 لبنان ]

অর্থাৎ, আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের কবরের উপরে গুম্বুজ স্থাপন করা এবং সাধারণ লোকজন যেন মাযারস্ত আউলিয়াগণকে হীন মনে না করে, এই উদ্দেশ্যে তাঁদের মাযার সমূহে সামিয়ানা, পাগড়ী ও গিলাফ দ্বারা আবৃত করা (শরিয়ত মতে) বৈধ বা জায়েজ । অনুরুপভাবে সম্মান ও মর্যদা প্রদর্শনার্থে আউলিয়ায়ে কেরাম ও ছালেহীন গনের মাযারের উপর ঝালর বাতি লটকানো ও প্রদ্বীপ জ্বালানো জায়েজ । কেননা এ কাজের উদ্দেশ্য মহৎ । আউলিয়া কেরামের মাযারে জ্বালানোর উদ্দেশ্য তৈল ও প্রদিপ মান্নত করাও জায়েজ । কেননা, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মাযারের অলিগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তাঁদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন । এই কাজে নিষেধ করা বা বাধা দেয়া অনুচিৎ । তাফসীরে রুহুল বায়ানঃ (সূরা - আত্ তাওবাঃ আয়াত - ১৮) ৩য় খণ্ড, ১৬৬৬ পৃষ্ঠা, (১৮২৬ – ২৭ হিজরী, ২০০৬ খৃষ্টাব্দ, বাইরুত, লেবানন ছাপা)।


Leave a Reply

Subscribe to Posts | Subscribe to Comments

ফেসবুক ফ্যান হয়ে উঠুন

জনপ্রিয় পোস্টসমূহ

মোট পৃষ্ঠাদর্শন

- Copyright © সত্যকে জানুন - Metrominimalist - Powered by Blogger - Designed by Johanes Djogan -