সাম্প্রতিক পোস্টসমূহ
loading..
Archive for October 2014
# আল - ইয়াওমুল - আশুরা (সংকলন) পর্ব - ২
যাকে কেন্দ্র করে ১০ই মহররম কারবালার প্রান্তরে হৃদয়-বিদারক ঘটনার অবতারণা হলো, রচিত হলো করুণতম বিয়োগান্ত ইতিহাস; যিনি ইয়াজিদ ইবনে মাবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (আবু সুফিয়ান এবং তার স্ত্রী হিন্দা, হুজুরপাক (সাঃ) এবং তাঁর অনুসারি ও অনুরাগীগণের প্রতি চরম জিঘাংসা পোষণ করতো) এর প্ররোচনায় প্ররোচিত, প্রলোভনে প্রলুব্ধ আব্দুল্লাহ ইবনে সা'দ, ওবায়দুল্লা ইবনে জিয়াদ, সীমার বিন জিল জৌশন প্রমুখ মুসলমান নামধারী দুশমনে রাসুল, দুশমনে আহলে বায়েত দ্বারা কারবালার ময়দানে আক্রান্ত হলেন - তিনি ঐ আহলে বায়েতের অন্যতম আহলে বায়েত, হযরত আলী-আল-মরতুজা শের-এ খোদা (কঃ)'র হৃদয়ের ধন; সাইয়েদাতুন্নেছা হযরত ফাতেমাতুজজোহরা (রাঃ)'র কলিজার টুকরা; রাসুলেখোদা (সাঃ)'র নুর-এ-নাজার, প্রানের প্রান, সাইয়েদেনা সাইয়েদোশশোহাদা হযরত ঈমাম হোসাইন (আঃ)। যার সম্পর্কে রাসুলেখোদা (সাঃ) একদা বলেছেনঃ
"হোসাইন আমা হতে আর আমি হোসাইন হতে।" (তিরমিযি শরীফ, রাবি- হযরত ইয়ালি-বিন-মারহ)
যাকে একদা হযরত উমর (রাঃ) রাসুলে খোদা (সাঃ)'র স্কন্ধ মোবারক মতান্তরে পিঠ মোবারকে সাওয়ার দেখে আবেগের সাথে বলে উঠেছিলেনঃ
"কতই না উত্তম সাওয়ার"
এতদ শ্রবনে রাসুলে খোদা (সাঃ) বলেছিলেনঃ
"সাওয়ারীওতো কত উত্তম।"
যার ঠোঁট ও গর্দান মোবারকে রাসুলে খোদা (সাঃ) বহুবার চুম্বন খেয়েছিলেন। যাকে উদ্দেশ্য করে তিনি একদা বলেছিলেন - "হে আল্লাহ, এঁকে তুমি ভালবেসো, কেননা আমি এঁকে ভালবাসি।"
প্রাসঙ্গিকক্রমে এখানে 'আহলে-বায়েত' সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করতে হয়। 'আহলে-বায়েত' এর আভিধানিক অর্থ পরিবারের সদস্য। কিন্তু রাসুলে খোদা (সাঃ)'র 'আহলে-বায়েত' বা তাঁর পুণ্যময় পরিবারের সদস্য বলতে সাইয়েদেনা হযরত আমিরুল মু'মীনিন আলী-আল-মর্তোজা শেরেখোদা (কঃ), তাঁর সহধর্মিণী ও রাসুলে তনয়া সাইয়েদাতুন্নেছা হযরত ফাতেমাতুজ্জোহরা (রাঃ) এবং তাঁদের দুই পুত্র হযরত ঈমাম হাসান (আঃ) ও হযরত ঈমাম হোসাইন (আঃ) কে বোঝায়। কারন, যখন কোরআনে পাকে এরশাদ হলোঃ
"হে রাসুল, আপনি বলুন, তোমাদের (হেদায়েতের) জন্য আমি যে পরিশ্রম করেছি, তার বিনিময়ে আমার কেরাবাতের প্রতি ভালোবাসা ভিন্ন তোমাদের কাছে আমি আর কিছুই প্রত্যাশা করি না।" (আল-কোরাআন)
তখন সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেনঃ
"ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ), আপনার কেরাবাত বা ঐ সকল নিকটতম ব্যাক্তিবর্গ কারা ? যাঁদের প্রতি ভালোবাসা আমাদের জন্য আল্লাহপাক লাজেম করে দিলেন।"
হুজুর (সাঃ) ফরমালেনঃ
"আলী, ফাতেমা এবং তাঁদের পুত্রদ্বয়।"(দোররে মনসুর, রাবি- হযরত ইবনে আব্বাস)
আহলে বায়েতগন আল্লাহ-রাব্বুল ইজ্জাতের নিকট কত প্রিয়, তাঁদের শান ও আজমত তাঁর দরবারে যে কত মহান, উপরোক্ত আয়াতে-কারিমা তার যথার্থ প্রমান। এখানে আল্লাহ-পাক একদিকে যেমনি আহলে বায়েতের প্রতি ভালোবাসা ও প্রেমকে তাঁর সকল বান্দাদের জন্য লাজেম করেছেন, অপরদিকে তেমনি তাঁদের প্রতি স্বীয় ভালোবাসা বা প্রেমকেও প্রকাশ করেছেন। পরোক্ষভাবে তুলে ধরেছেন তাঁদের মহান শা'নকে সকল বান্দার কাছে বিশেষ করে সকল আহলে - ঈমানের কাছে।
সূরা "আররাহমানে" এরশাদ হচ্ছেঃ
"তিনিইতো দুই সাগর প্রবাহিত করেন, যারা পরষ্পর মিলিত হয়।"
"তাদের মধ্য হইতে নির্গত হয়, মুক্তা ও মানিক।"
এই আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাহাবি হযরত আনেছ বিন-মালেক বলেনঃ
"আল্লাহ -রাব্বুল ইজ্জত এখানে সাগরদ্বয়ের মিলিত প্রবাহ বলতে আলী (কঃ) ও হযরত ফাতেমা (রাঃ) এবং হযরত হাসান (আঃ) ও হযরত হোসাইন (আঃ) কেই বুঝিয়েছেন।"(তাফসিরে দোররা-মনসুর)
সাগর বলতে এখানে নেয়ামতের সাগর বা রহমতের সাগরকে বোঝানো হয়েছে। সাগর যেমনি কুল-কিনারা বিহীন অফুরন্ত পানির আধার, এই সাগরদ্বয়ও তেমনি অফুরন্ত নেয়ামত, অফুরন্ত রহমত, অফুরন্ত বেলায়েত তথা আছরারে-এলাহির অসীম আধার। আল্লাহপাক এখানে অসীম - অফুরন্ত নেয়ামতের, রহমতের, বেলায়েতের সাগরের সাথে, আহলে-বায়েতের অন্যতম প্রধান দুই আহলে বায়েত হযরত আলী (কঃ) এবং হযরত ফাতেমাতুজ্জোহরা (রাঃ) কে তুলনা করে, তাঁদের মহান শান ও আজমাতকে যেমনি বান্দার নিকট তুলে ধরেছেন, ঠিক তেমনি অপর দুই আহলে-বায়েত হযরত ঈমাম হাসান (আঃ) ও হযরত ঈমাম হোসাইন (আঃ)'র মহান শান ও আজমাতকে তুলে ধরেছেন বান্দার নিকট মুক্তা ও মানিকের সঙ্গে তুলনা করে।
"হোসাইন আমা হতে আর আমি হোসাইন হতে।" (তিরমিযি শরীফ, রাবি- হযরত ইয়ালি-বিন-মারহ)
যাকে একদা হযরত উমর (রাঃ) রাসুলে খোদা (সাঃ)'র স্কন্ধ মোবারক মতান্তরে পিঠ মোবারকে সাওয়ার দেখে আবেগের সাথে বলে উঠেছিলেনঃ
"কতই না উত্তম সাওয়ার"
এতদ শ্রবনে রাসুলে খোদা (সাঃ) বলেছিলেনঃ
"সাওয়ারীওতো কত উত্তম।"
যার ঠোঁট ও গর্দান মোবারকে রাসুলে খোদা (সাঃ) বহুবার চুম্বন খেয়েছিলেন। যাকে উদ্দেশ্য করে তিনি একদা বলেছিলেন - "হে আল্লাহ, এঁকে তুমি ভালবেসো, কেননা আমি এঁকে ভালবাসি।"
প্রাসঙ্গিকক্রমে এখানে 'আহলে-বায়েত' সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করতে হয়। 'আহলে-বায়েত' এর আভিধানিক অর্থ পরিবারের সদস্য। কিন্তু রাসুলে খোদা (সাঃ)'র 'আহলে-বায়েত' বা তাঁর পুণ্যময় পরিবারের সদস্য বলতে সাইয়েদেনা হযরত আমিরুল মু'মীনিন আলী-আল-মর্তোজা শেরেখোদা (কঃ), তাঁর সহধর্মিণী ও রাসুলে তনয়া সাইয়েদাতুন্নেছা হযরত ফাতেমাতুজ্জোহরা (রাঃ) এবং তাঁদের দুই পুত্র হযরত ঈমাম হাসান (আঃ) ও হযরত ঈমাম হোসাইন (আঃ) কে বোঝায়। কারন, যখন কোরআনে পাকে এরশাদ হলোঃ
"হে রাসুল, আপনি বলুন, তোমাদের (হেদায়েতের) জন্য আমি যে পরিশ্রম করেছি, তার বিনিময়ে আমার কেরাবাতের প্রতি ভালোবাসা ভিন্ন তোমাদের কাছে আমি আর কিছুই প্রত্যাশা করি না।" (আল-কোরাআন)
তখন সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেনঃ
"ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ), আপনার কেরাবাত বা ঐ সকল নিকটতম ব্যাক্তিবর্গ কারা ? যাঁদের প্রতি ভালোবাসা আমাদের জন্য আল্লাহপাক লাজেম করে দিলেন।"
হুজুর (সাঃ) ফরমালেনঃ
"আলী, ফাতেমা এবং তাঁদের পুত্রদ্বয়।"(দোররে মনসুর, রাবি- হযরত ইবনে আব্বাস)
আহলে বায়েতগন আল্লাহ-রাব্বুল ইজ্জাতের নিকট কত প্রিয়, তাঁদের শান ও আজমত তাঁর দরবারে যে কত মহান, উপরোক্ত আয়াতে-কারিমা তার যথার্থ প্রমান। এখানে আল্লাহ-পাক একদিকে যেমনি আহলে বায়েতের প্রতি ভালোবাসা ও প্রেমকে তাঁর সকল বান্দাদের জন্য লাজেম করেছেন, অপরদিকে তেমনি তাঁদের প্রতি স্বীয় ভালোবাসা বা প্রেমকেও প্রকাশ করেছেন। পরোক্ষভাবে তুলে ধরেছেন তাঁদের মহান শা'নকে সকল বান্দার কাছে বিশেষ করে সকল আহলে - ঈমানের কাছে।
সূরা "আররাহমানে" এরশাদ হচ্ছেঃ
"তিনিইতো দুই সাগর প্রবাহিত করেন, যারা পরষ্পর মিলিত হয়।"
"তাদের মধ্য হইতে নির্গত হয়, মুক্তা ও মানিক।"
এই আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট সাহাবি হযরত আনেছ বিন-মালেক বলেনঃ
"আল্লাহ -রাব্বুল ইজ্জত এখানে সাগরদ্বয়ের মিলিত প্রবাহ বলতে আলী (কঃ) ও হযরত ফাতেমা (রাঃ) এবং হযরত হাসান (আঃ) ও হযরত হোসাইন (আঃ) কেই বুঝিয়েছেন।"(তাফসিরে দোররা-মনসুর)
সাগর বলতে এখানে নেয়ামতের সাগর বা রহমতের সাগরকে বোঝানো হয়েছে। সাগর যেমনি কুল-কিনারা বিহীন অফুরন্ত পানির আধার, এই সাগরদ্বয়ও তেমনি অফুরন্ত নেয়ামত, অফুরন্ত রহমত, অফুরন্ত বেলায়েত তথা আছরারে-এলাহির অসীম আধার। আল্লাহপাক এখানে অসীম - অফুরন্ত নেয়ামতের, রহমতের, বেলায়েতের সাগরের সাথে, আহলে-বায়েতের অন্যতম প্রধান দুই আহলে বায়েত হযরত আলী (কঃ) এবং হযরত ফাতেমাতুজ্জোহরা (রাঃ) কে তুলনা করে, তাঁদের মহান শান ও আজমাতকে যেমনি বান্দার নিকট তুলে ধরেছেন, ঠিক তেমনি অপর দুই আহলে-বায়েত হযরত ঈমাম হাসান (আঃ) ও হযরত ঈমাম হোসাইন (আঃ)'র মহান শান ও আজমাতকে তুলে ধরেছেন বান্দার নিকট মুক্তা ও মানিকের সঙ্গে তুলনা করে।
চলবে...
লেখকঃ এস জি এম চিশতী
Thursday, October 30, 2014
Posted by
Unknown
# আল - ইয়াওমুল - আশুরা (সংকলন) পর্ব - ১
আরবী তথা ইসলামী সাল বা বৎসরের প্রথম মাস মহররম মাস বা শাহরে মহররম (পবিত্র মাস)। “ইসলাম” শব্দের মূল আভিধানিক অর্থ বা মানায়ে লাগবি ‘আত্নসমর্পন করা’; আর ব্যবহারিক অর্থ বা মানায়ে এস্তে-লাহি ‘শান্তি’। আল্লাহপাকের রেজামুন্দি হাসিলের জন্য তাঁর দরবারে আত্ন-ত্যাগ, আত্নোৎসর্গ করে হৃদয়ে বা প্রানে যে প্রশান্তি অনুভূত হয় বা শান্তি লাভ করা যায় তাই ব্যাবহারিক অর্থে ইসলাম। এর জন্য আল্লাহপাক যে জীবন-বিধান প্রদান করেছেন তাই ইসলাম ধর্ম। এরশাদ হচ্ছেঃ
“আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত একমাত্র জীবন-বিধান বা ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।”
ইসলাম সূচিত হয়েছে হযরত আদম (আঃ)’র সময়, কাঠামো লাভ করেছে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)’র সময়, আর পরিপূর্নতা লাভ করেছে সরকারে দো-আলম, নাবীয়ে দো-জাহা, সাইয়েদুল মুরসালিন রাসুলে আকরাম (সাঃ আঃ)’র মাধ্যমে। কোরআন মজিদে তাই এরশাদ হচ্ছেঃ
“তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে আজ পরিপূর্ন করলাম এবং তোমাদের জন্য আমার সকল নেয়ামত প্রদানও সম্পন্ন হল।”
আল্লাহ-রাব্বুল আলামিন, যিনি খালেক ও মালেক, তাঁর রেজামুন্দি হাসেল, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশের নিমিত্ত স্বীয় জান-মাল, যথাসর্বস্ব কোরবানি করা বা বিসর্জন দেয়াই হল ইসলামের মূল আদর্শ ও মূল শিক্ষা। তাই ইসলামী সাল বা বৎসরের এবতেদা কোরবানির মাধ্যমে, আর এন্তেহাও কোরবানির মাধ্যমে। ইসলামী বৎসরের প্রথম মাস "মহররম"- যার দশ তারিখ যেমনি বহন করে কোরবানির এক বে-নজির দৃষ্টান্ত, তেমনি বৎসরের শেষ মাস জিলহজ্জ যার দশ তারিখও বহন করে কোরবানির উজ্জল দৃষ্টান্ত। এই উভয় কোরবানি আল্লাহ-পাকের মহান দরবারে এমনিভাবে মাকবুলিয়াত লাভ করেছে যে, তাঁর বান্দাদের জন্য এই উভয় দিনকে তিনি চিরস্মরনীয় করে রেখেছেন।
মহররম মাস বা শাহরে মহররম যার দশ তারিখ বা ইয়াওমুল-আশুরা যুগ যুগ ধরে প্রতিটি মো’মেন নর-নারী, আশেকে-রাসুল, আশেকে-আহলে বায়েত এর প্রানে দোলা দেয়। জাগ্রত করে একদিকে যেমনি এক হৃদয়-বিদারক বেদনাময় স্মৃতিকে, তেমনি জাগ্রত করে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্যের ঝান্ডাকে উত্তোলন করার জন্য, ন্যায় ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এক মহান আত্নত্যাগের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিকে। এই দিনটিতে আশেকের প্রান যেমনি হৃদয় বিদারক সেই স্মৃতির ব্যাথায় ব্যাথিত, ভারাক্রান্ত; তেমনি আত্নত্যাগের সেই গৌরবময় স্মৃতিমন্থনে গর্বিত; আশেক মাশুকের সেই মহা মিলনের আনন্দে আনন্দিত।
ইয়াওমুল-আশুরা বা আশুরার দিনটি যে কেবল ধর্মপ্রান মুসলমান, আশেকে রাসুল, আহলে ইমান এর নিকটেই পূতঃপবিত্র বা মর্তবাপূর্ণ দিনরূপে স্মরনীয় বা স্বীকৃত তা-ই নয়, হযরত আদম (আঃ) এর জমানা হতেই এই দিনটি প্রত্যেক নবীর উম্মতের, ক্বওমের, আহলে ইমানের নিকটিই পুতঃপবিত্র বা মর্তবাপূর্ণ দিনরূপে বিবেচিত বা স্বীকৃত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর হাবীব- সাইয়েদুল মুরসালিন (সমস্ত নবিদের সর্দার), সারওয়ারে-কায়েনাত, রাহমাতুল্লিল-আলামিন হযরত রাসুলে খোদা (সাঃ আঃ) যিনি সমস্ত সৃষ্টির একমাত্র উৎস, তাঁরই নূর – এ – নজর, প্রাণাধিক প্রিয়তম দৌহীত্র হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) এর হৃদয়ের ধন হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) কে ঐ শহীদগণ, যাঁদের মর্তবা সম্পর্কে আল্লাহপাক কোরআনে মজিদে একাধিক বার উল্লেখ করেছেন, যাঁদের এক কাতরা রক্তের বিনিময়ে ৭০ হাজার গুনাহগার উম্মতে-মুহাম্মাদী নাজাত বা পরিত্রান লাভ করবে, সেই শহীদগনের সর্দার বা “সাইয়েদোশ-শোহাদার” শ্রেষ্ঠতম মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবেন বলেই এই দিনটি যুগ যুগ ধরে পূতঃপবিত্র ও মর্তবাপূর্ণ দিনরুপে চিহ্নিত হয়ে আসছে। এই দিনটিতে আল্লাহ – রাব্বুল – আলামিন যুগে যুগে তাঁর রহমতের দুয়ার বান্দার জন্য খুলে দিয়েছেন, রহমতের বারিধারা বর্ষিত হয়েছে তাঁর খাস বান্দাদের উপর। এই দিনে কবুল হয়েছে হযরত আদম (আঃ) এর তওবা; উচ্চ মর্তবা লাভ করেছেন হযরত ইদ্রিছ (আঃ); নির্বাপিত হয়েছিলো হযরত ইব্রাহিম (আঃ) যে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তা; কিশতী হতে অবতরন করতে সক্ষম হয়েছিলেন হযরত নূহ (আঃ) এবং তাঁর সঙ্গীগন; তাওরাত কিতাব নাযিল হয়েছিলো হযরত মুসা (আঃ) এর উপর; নীল নদ দ্বিধা বিভক্ত হয়েছিলো বনি ইসরাইলদের জন্য; কয়েদখানা হতে মুক্তি লাভ করেছিলেন হযরত ইউসুফ (আঃ); মাছের পেট হতে বের হতে সক্ষম হয়েছিলেন হযরত ইউনুস (আঃ)। আজও বর্ষিত হয়, আজও খুলে দেন তাঁর রহমতের দুয়ার অগনিত গুনাহগার উম্মতে মুহাম্মাদির নাজাতের জন্য, তাওবা কবুল হওয়ার জন্য। এই দিনটি তাই প্রতি বৎসর ফিরে আসে আমাদের কাছে রহমতের সওগাত নিয়ে।
চলবে...
“আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত একমাত্র জীবন-বিধান বা ধর্ম হচ্ছে ইসলাম।”
ইসলাম সূচিত হয়েছে হযরত আদম (আঃ)’র সময়, কাঠামো লাভ করেছে হযরত ইব্রাহিম (আঃ)’র সময়, আর পরিপূর্নতা লাভ করেছে সরকারে দো-আলম, নাবীয়ে দো-জাহা, সাইয়েদুল মুরসালিন রাসুলে আকরাম (সাঃ আঃ)’র মাধ্যমে। কোরআন মজিদে তাই এরশাদ হচ্ছেঃ
“তোমাদের জন্য তোমাদের ধর্মকে আজ পরিপূর্ন করলাম এবং তোমাদের জন্য আমার সকল নেয়ামত প্রদানও সম্পন্ন হল।”
আল্লাহ-রাব্বুল আলামিন, যিনি খালেক ও মালেক, তাঁর রেজামুন্দি হাসেল, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য প্রকাশের নিমিত্ত স্বীয় জান-মাল, যথাসর্বস্ব কোরবানি করা বা বিসর্জন দেয়াই হল ইসলামের মূল আদর্শ ও মূল শিক্ষা। তাই ইসলামী সাল বা বৎসরের এবতেদা কোরবানির মাধ্যমে, আর এন্তেহাও কোরবানির মাধ্যমে। ইসলামী বৎসরের প্রথম মাস "মহররম"- যার দশ তারিখ যেমনি বহন করে কোরবানির এক বে-নজির দৃষ্টান্ত, তেমনি বৎসরের শেষ মাস জিলহজ্জ যার দশ তারিখও বহন করে কোরবানির উজ্জল দৃষ্টান্ত। এই উভয় কোরবানি আল্লাহ-পাকের মহান দরবারে এমনিভাবে মাকবুলিয়াত লাভ করেছে যে, তাঁর বান্দাদের জন্য এই উভয় দিনকে তিনি চিরস্মরনীয় করে রেখেছেন।
মহররম মাস বা শাহরে মহররম যার দশ তারিখ বা ইয়াওমুল-আশুরা যুগ যুগ ধরে প্রতিটি মো’মেন নর-নারী, আশেকে-রাসুল, আশেকে-আহলে বায়েত এর প্রানে দোলা দেয়। জাগ্রত করে একদিকে যেমনি এক হৃদয়-বিদারক বেদনাময় স্মৃতিকে, তেমনি জাগ্রত করে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে ন্যায় ও সত্যের ঝান্ডাকে উত্তোলন করার জন্য, ন্যায় ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এক মহান আত্নত্যাগের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিকে। এই দিনটিতে আশেকের প্রান যেমনি হৃদয় বিদারক সেই স্মৃতির ব্যাথায় ব্যাথিত, ভারাক্রান্ত; তেমনি আত্নত্যাগের সেই গৌরবময় স্মৃতিমন্থনে গর্বিত; আশেক মাশুকের সেই মহা মিলনের আনন্দে আনন্দিত।
ইয়াওমুল-আশুরা বা আশুরার দিনটি যে কেবল ধর্মপ্রান মুসলমান, আশেকে রাসুল, আহলে ইমান এর নিকটেই পূতঃপবিত্র বা মর্তবাপূর্ণ দিনরূপে স্মরনীয় বা স্বীকৃত তা-ই নয়, হযরত আদম (আঃ) এর জমানা হতেই এই দিনটি প্রত্যেক নবীর উম্মতের, ক্বওমের, আহলে ইমানের নিকটিই পুতঃপবিত্র বা মর্তবাপূর্ণ দিনরূপে বিবেচিত বা স্বীকৃত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর হাবীব- সাইয়েদুল মুরসালিন (সমস্ত নবিদের সর্দার), সারওয়ারে-কায়েনাত, রাহমাতুল্লিল-আলামিন হযরত রাসুলে খোদা (সাঃ আঃ) যিনি সমস্ত সৃষ্টির একমাত্র উৎস, তাঁরই নূর – এ – নজর, প্রাণাধিক প্রিয়তম দৌহীত্র হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ) এর হৃদয়ের ধন হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ) কে ঐ শহীদগণ, যাঁদের মর্তবা সম্পর্কে আল্লাহপাক কোরআনে মজিদে একাধিক বার উল্লেখ করেছেন, যাঁদের এক কাতরা রক্তের বিনিময়ে ৭০ হাজার গুনাহগার উম্মতে-মুহাম্মাদী নাজাত বা পরিত্রান লাভ করবে, সেই শহীদগনের সর্দার বা “সাইয়েদোশ-শোহাদার” শ্রেষ্ঠতম মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করবেন বলেই এই দিনটি যুগ যুগ ধরে পূতঃপবিত্র ও মর্তবাপূর্ণ দিনরুপে চিহ্নিত হয়ে আসছে। এই দিনটিতে আল্লাহ – রাব্বুল – আলামিন যুগে যুগে তাঁর রহমতের দুয়ার বান্দার জন্য খুলে দিয়েছেন, রহমতের বারিধারা বর্ষিত হয়েছে তাঁর খাস বান্দাদের উপর। এই দিনে কবুল হয়েছে হযরত আদম (আঃ) এর তওবা; উচ্চ মর্তবা লাভ করেছেন হযরত ইদ্রিছ (আঃ); নির্বাপিত হয়েছিলো হযরত ইব্রাহিম (আঃ) যে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তা; কিশতী হতে অবতরন করতে সক্ষম হয়েছিলেন হযরত নূহ (আঃ) এবং তাঁর সঙ্গীগন; তাওরাত কিতাব নাযিল হয়েছিলো হযরত মুসা (আঃ) এর উপর; নীল নদ দ্বিধা বিভক্ত হয়েছিলো বনি ইসরাইলদের জন্য; কয়েদখানা হতে মুক্তি লাভ করেছিলেন হযরত ইউসুফ (আঃ); মাছের পেট হতে বের হতে সক্ষম হয়েছিলেন হযরত ইউনুস (আঃ)। আজও বর্ষিত হয়, আজও খুলে দেন তাঁর রহমতের দুয়ার অগনিত গুনাহগার উম্মতে মুহাম্মাদির নাজাতের জন্য, তাওবা কবুল হওয়ার জন্য। এই দিনটি তাই প্রতি বৎসর ফিরে আসে আমাদের কাছে রহমতের সওগাত নিয়ে।
চলবে...
লেখকঃ এস জি এম চিশতী
Wednesday, October 29, 2014
Posted by
Unknown
# সালতানাতে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ষষ্ঠ পর্ব।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দ্বীন ও দুনিয়ার মালিক।
এরশাদ হচ্ছেঃ
وما كان لمؤمن ولا مؤمنة اذا قضى الله ورسوله امرا ان يكون لهم الخيرة من امرهم .ومن يعص الله ورسوله فقد ضل ضلالا مبينا .. سورة الاحزاب :اية-٣٦
অর্থাৎ, "এবং না কোন মুসলমান পুরুষ, না কোন মুসলমান নারীর জন্য শোভা পায় যে, যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন নির্দেশ দেন তখন তাদের নিজ ব্যাপারে কোন ইখতিয়ার থাকবে! এবং যে কেউ নির্দেশ অমান্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের, সে নিশ্চই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পথভ্রষ্ট হয়েছে।" (সূরা - আল আহযাবঃ আয়াত - ৩৬)
শানে নূযুলঃ
হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ আসাদিয়াহ, তাঁর ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ এবং তাঁর মা উমায়মাহ বিনতে আব্দুল মোত্তালিব (হুজুর সাঃ আঃ এর ফুফী)'র প্রসংগে এ আয়াত অবতির্ণ হয়েছে। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপন পোষ্য পুত্র যায়েদ ইবনে হারিসের সাথে বিয়ের জন্য যয়নবের নিকট পয়গাম(প্রস্তাব) পাঠালেন, যা যয়নব ও অন্যান্য ব্যাক্তিগন গ্রহন করেননি। এ প্রসংগে আয়াত শরীফ অবতির্ণ হয়েছে, যার ফলে যয়নব ও অন্যান্য সকলে রাজি হয়ে গেলেন। আর হযরত যয়নবের বিয়ে হযরত যায়েদের সাথে করিয়ে দেওয়া হলো। (রাদিয়াল্লাহু আনহুম )
উপরোক্ত আয়াতে কারীমা থেকে স্পষ্ট ভাবে বুঝা গেল যে, রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র হুকুমের সামনে সবাইকে মাথা নত করতে হবে। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র হুকুমের সামনে নিজের ব্যাক্তিগত লেনদেনের ক্ষেত্রেও মুমিনের অধিকার থাকেনা। যদি হুজুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কারো জন্য বিবাহিত স্ত্রীকেও হারাম করে দেন, তবে সেও হারাম হয়ে যাবে।
মাসায়ালাঃ
১। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নির্দেশ পালন করা অপরিহার্য।
২। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিটি মুমিনের জান মালের মালিক।
৩। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নির্দেশ মাতা-পিতার হুকুমের চেয়েও বেশি তাৎপর্য বহন করে।
৪।হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নির্দেশ মূলত আল্লাহতালারই নির্দেশ। এতে সন্দেহ করাটা পথভ্রষ্টতা।
দেখুন, নারীর অধিকার রয়েছে নিজের বিবাহের ব্যাপারে স্বাধীন মত প্রকাশ করার; কিন্ত, হুজুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নির্দেশ হলে তার নিজের কোন অধিকার থাকেনা(উপরোক্ত ঘটনার আলোকে)।
মোট কথা, হুজুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দ্বীন ও দুনিয়ার মালিক।
চলবে...
এরশাদ হচ্ছেঃ
وما كان لمؤمن ولا مؤمنة اذا قضى الله ورسوله امرا ان يكون لهم الخيرة من امرهم .ومن يعص الله ورسوله فقد ضل ضلالا مبينا .. سورة الاحزاب :اية-٣٦
অর্থাৎ, "এবং না কোন মুসলমান পুরুষ, না কোন মুসলমান নারীর জন্য শোভা পায় যে, যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন নির্দেশ দেন তখন তাদের নিজ ব্যাপারে কোন ইখতিয়ার থাকবে! এবং যে কেউ নির্দেশ অমান্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের, সে নিশ্চই সুস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পথভ্রষ্ট হয়েছে।" (সূরা - আল আহযাবঃ আয়াত - ৩৬)
শানে নূযুলঃ
হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ আসাদিয়াহ, তাঁর ভাই আব্দুল্লাহ ইবনে জাহাশ এবং তাঁর মা উমায়মাহ বিনতে আব্দুল মোত্তালিব (হুজুর সাঃ আঃ এর ফুফী)'র প্রসংগে এ আয়াত অবতির্ণ হয়েছে। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপন পোষ্য পুত্র যায়েদ ইবনে হারিসের সাথে বিয়ের জন্য যয়নবের নিকট পয়গাম(প্রস্তাব) পাঠালেন, যা যয়নব ও অন্যান্য ব্যাক্তিগন গ্রহন করেননি। এ প্রসংগে আয়াত শরীফ অবতির্ণ হয়েছে, যার ফলে যয়নব ও অন্যান্য সকলে রাজি হয়ে গেলেন। আর হযরত যয়নবের বিয়ে হযরত যায়েদের সাথে করিয়ে দেওয়া হলো। (রাদিয়াল্লাহু আনহুম )
উপরোক্ত আয়াতে কারীমা থেকে স্পষ্ট ভাবে বুঝা গেল যে, রাসূলুল্লাহ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র হুকুমের সামনে সবাইকে মাথা নত করতে হবে। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র হুকুমের সামনে নিজের ব্যাক্তিগত লেনদেনের ক্ষেত্রেও মুমিনের অধিকার থাকেনা। যদি হুজুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কারো জন্য বিবাহিত স্ত্রীকেও হারাম করে দেন, তবে সেও হারাম হয়ে যাবে।
মাসায়ালাঃ
১। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নির্দেশ পালন করা অপরিহার্য।
২। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিটি মুমিনের জান মালের মালিক।
৩। হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নির্দেশ মাতা-পিতার হুকুমের চেয়েও বেশি তাৎপর্য বহন করে।
৪।হুযুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নির্দেশ মূলত আল্লাহতালারই নির্দেশ। এতে সন্দেহ করাটা পথভ্রষ্টতা।
দেখুন, নারীর অধিকার রয়েছে নিজের বিবাহের ব্যাপারে স্বাধীন মত প্রকাশ করার; কিন্ত, হুজুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নির্দেশ হলে তার নিজের কোন অধিকার থাকেনা(উপরোক্ত ঘটনার আলোকে)।
মোট কথা, হুজুর ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দ্বীন ও দুনিয়ার মালিক।
চলবে...
# সালতানাতে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পঞ্চম পর্ব।
যাদের অন্তরসমূহকে আল্লাহ-তায়ালা "তাক্বওয়া " (খোদাভীরুতা) অবলম্বনকারী হিসেবে কবুল করেছেন, তারাই মূলত হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি তাজিম ও আদাব প্রদর্শন করে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামুল্লাহ শরিফে এরশাদ করেন-
ان الذين يغضون اصواتهم عند رسول الله الئك الذين امتحن الله قلوبهم للتقوى. لهم مغفرة واجر عظيم. . (سورة -الحجرات:اية-٣)
অর্থাৎ, নিশ্চয় ওই সমস্ত লোক, যারা আপন কন্ঠস্বরকে নিচু রাখে আল্লাহর রাসূলের নিকট, তারা হচ্ছে ওই সব লোক যাদের অন্তরকে আল্লাহ তায়ালা খোদাভীরুতার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে। (সূরা - আল হুজরাতঃ আয়াত - ৩)
শানে নূযুলঃ
হযরত আবুবকর সিদ্দীক ও ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহুম আদাব রক্ষার্থে হুজুর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে অতিমাত্রায় নিম্নস্বরে আলাপ করতেন। তাদের সুসংবাদ প্রদান করে উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে।
মাসায়ালাঃ
১। সমস্ত ইবাদাত বান্দেগী শরীরের জন্য তাক্বওয়া, আর হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি আদব করা অন্তরের তাক্বওয়া।
২। সাহাবায়ে কেরামগণের মহান হৃদয় ও হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি আদাব রক্ষাকারী সকল মুমিন বান্দাদের অন্তরকে আল্লাহ-তায়ালা তাক্বওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন।
৩। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি আদাব প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। এমন পুরস্কার যা কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র উছিলায় ক্ষমা ও মহা পুরস্কার লাভের সৌভাগ্য নসিব করুন। আমিন!
চলবে...
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামুল্লাহ শরিফে এরশাদ করেন-
ان الذين يغضون اصواتهم عند رسول الله الئك الذين امتحن الله قلوبهم للتقوى. لهم مغفرة واجر عظيم. . (سورة -الحجرات:اية-٣)
অর্থাৎ, নিশ্চয় ওই সমস্ত লোক, যারা আপন কন্ঠস্বরকে নিচু রাখে আল্লাহর রাসূলের নিকট, তারা হচ্ছে ওই সব লোক যাদের অন্তরকে আল্লাহ তায়ালা খোদাভীরুতার জন্য পরীক্ষা করে নিয়েছেন। তাদের জন্য ক্ষমা ও মহা পুরস্কার রয়েছে। (সূরা - আল হুজরাতঃ আয়াত - ৩)
শানে নূযুলঃ
হযরত আবুবকর সিদ্দীক ও ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু আনহুম আদাব রক্ষার্থে হুজুর পাক (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে অতিমাত্রায় নিম্নস্বরে আলাপ করতেন। তাদের সুসংবাদ প্রদান করে উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে।
মাসায়ালাঃ
১। সমস্ত ইবাদাত বান্দেগী শরীরের জন্য তাক্বওয়া, আর হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রতি আদব করা অন্তরের তাক্বওয়া।
২। সাহাবায়ে কেরামগণের মহান হৃদয় ও হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি আদাব রক্ষাকারী সকল মুমিন বান্দাদের অন্তরকে আল্লাহ-তায়ালা তাক্বওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই করে নিয়েছেন।
৩। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি আদাব প্রদর্শনকারীদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার। এমন পুরস্কার যা কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র উছিলায় ক্ষমা ও মহা পুরস্কার লাভের সৌভাগ্য নসিব করুন। আমিন!
চলবে...
# সালতানাতে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চতুর্থ পর্ব।
রাসূলে খোদা হযরত মোহাম্মাদ মোস্তফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 'র শানে বে- আদবী করা কুফরী।
আল্লাহ-তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে এরশাদ করেন-
يايها الذين امنوا لا ترفعوا اصواتكم فوق صوت النبى ولا تجهروا له بالقول كجهر بعضكم لبعض ان تحبط اعمالكم وانتم لا تشعرون. .
অর্থাৎ, "হে ঈমানদারগণ ! নিজেদের কন্ঠস্বরকে উঁচু করোনা ওই অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র কন্ঠস্বরের উপর, এবং তিনির সামনে চিৎকার করে কথা বলোনা, যেভাবে পরস্পরের মধ্যে একে অপরের সামনে চিৎকার করো, যেন তোমাদের কর্মসমুহ নিষ্ফল না হয়ে যায় আর তোমাদের খবর থাকবেনা।" (সূরা - হুজরাতঃ আয়াত- ২)
উপরোক্ত আয়াতের শানে নূযুলঃ
এ আয়াত হযরত সাবিত ইবনে ক্বায়স ইবনে শাম্মাস (রাঃ)'র প্রসংগে অবতির্ণ হয়েছে। যিনি কিছুটা উচ্চ স্বর শুনতেন এবং নিজেও বলতেন উচ্চ কন্ঠে। তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো যেন দরবারে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এ তার আওয়াজকে নিচু রাখেন। হযরত সাবিত (রাঃ) এ আয়াত শরিফ নাযিল হওয়ার পর ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। তিনি নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে ফেললেন। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে হাজির হলেন না। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত সা'আদ (রাঃ)কে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, সা'আদ (রাঃ)ছিলেন সাবিত ইবনে ক্বাইস (রাঃ)'র প্রতিবেশী। সা'আদ (রাঃ) সাবিত ইবনে ক্বাইস (রাঃ)কে জিজ্ঞাস করলেন, সাবিত (রাঃ) বললেন "আমিতো দোযখী হয়ে গেছি, আমার কন্ঠস্বর উঁচু হয়ে গিয়েছিলো।" হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এ কথা শুনে এরশাদ ফরমালেন, "তাকে বলে দাও! সে জান্নাতি।"
উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়ার পর থেকে সকল সাহাবাগণ এত আস্তে কথা বলা শুরু করলেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক সময় একটি কথা কয়েকবার জিজ্ঞেস করতেন।
মাসায়ালাঃ
১। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে চিৎকার, চেচামেচি করা যাবে না।
২। এমন কোন সাধারণ উপাধিতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সম্বোধন করা যাবেনা যে সকল উপাধি দ্বারা আমরা একে অপরকে সম্বোধন করি। যেমনঃ চাচা, বাবা, ভাই, মানুষ ইত্যাদি। তিনিকে আদাবের সাথে সম্বোধন করতে হবে রাসূলুল্লাহ, হাবীবুল্লাহ, শাফিউল মুজনিবিন, রাহমাতাল্লিল আলামিন ইত্যাদি উপাধিতে।
৩। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি সামান্যতম বে-আদবি করাও কুফরী। কেননা, কুফরীর কারনেই নেকীগুলো বরবাদ হয়ে যায়। আর হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে উচ্চস্বরে কথা বলার ফলে নেকীগুলো বরবাদ হয়ে যায়।
(মনে রাখতে হবে কোন ধরনের অন্যায় কাজের জন্য আমাদের আমলনামায় গুনাহ লিখা হয়; কিন্ত নেকি / সাওয়াব বরবাদ হয়না। শুধুমাত্র যদি কেউ কুফরী করে অর্থাৎ ঈমান হারা হয়ে যায় ; তবেই তার নেকি / সাওয়াবসমুহ বরবাদ হয়ে যায়।)
আল্লাহ-তায়ালা আমাদের সকলকে তাঁর হাবিবের শানে বে- আদাবী মূলক কার্যকলাপ থেকে হেফাজত করুন।এবং তাঁর হাবিবের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি করুন।
আমিন!
চলবে...
আল্লাহ-তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে এরশাদ করেন-
يايها الذين امنوا لا ترفعوا اصواتكم فوق صوت النبى ولا تجهروا له بالقول كجهر بعضكم لبعض ان تحبط اعمالكم وانتم لا تشعرون. .
অর্থাৎ, "হে ঈমানদারগণ ! নিজেদের কন্ঠস্বরকে উঁচু করোনা ওই অদৃশ্যের সংবাদদাতা (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র কন্ঠস্বরের উপর, এবং তিনির সামনে চিৎকার করে কথা বলোনা, যেভাবে পরস্পরের মধ্যে একে অপরের সামনে চিৎকার করো, যেন তোমাদের কর্মসমুহ নিষ্ফল না হয়ে যায় আর তোমাদের খবর থাকবেনা।" (সূরা - হুজরাতঃ আয়াত- ২)
উপরোক্ত আয়াতের শানে নূযুলঃ
এ আয়াত হযরত সাবিত ইবনে ক্বায়স ইবনে শাম্মাস (রাঃ)'র প্রসংগে অবতির্ণ হয়েছে। যিনি কিছুটা উচ্চ স্বর শুনতেন এবং নিজেও বলতেন উচ্চ কন্ঠে। তাকে নির্দেশ দেওয়া হলো যেন দরবারে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এ তার আওয়াজকে নিচু রাখেন। হযরত সাবিত (রাঃ) এ আয়াত শরিফ নাযিল হওয়ার পর ঘর থেকে বের হচ্ছিলেন না। তিনি নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে ফেললেন। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে হাজির হলেন না। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত সা'আদ (রাঃ)কে তাঁর অনুপস্থিতির কারণ জিজ্ঞাসা করলেন, সা'আদ (রাঃ)ছিলেন সাবিত ইবনে ক্বাইস (রাঃ)'র প্রতিবেশী। সা'আদ (রাঃ) সাবিত ইবনে ক্বাইস (রাঃ)কে জিজ্ঞাস করলেন, সাবিত (রাঃ) বললেন "আমিতো দোযখী হয়ে গেছি, আমার কন্ঠস্বর উঁচু হয়ে গিয়েছিলো।" হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর এ কথা শুনে এরশাদ ফরমালেন, "তাকে বলে দাও! সে জান্নাতি।"
উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়ার পর থেকে সকল সাহাবাগণ এত আস্তে কথা বলা শুরু করলেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অনেক সময় একটি কথা কয়েকবার জিজ্ঞেস করতেন।
মাসায়ালাঃ
১। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে চিৎকার, চেচামেচি করা যাবে না।
২। এমন কোন সাধারণ উপাধিতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সম্বোধন করা যাবেনা যে সকল উপাধি দ্বারা আমরা একে অপরকে সম্বোধন করি। যেমনঃ চাচা, বাবা, ভাই, মানুষ ইত্যাদি। তিনিকে আদাবের সাথে সম্বোধন করতে হবে রাসূলুল্লাহ, হাবীবুল্লাহ, শাফিউল মুজনিবিন, রাহমাতাল্লিল আলামিন ইত্যাদি উপাধিতে।
৩। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি সামান্যতম বে-আদবি করাও কুফরী। কেননা, কুফরীর কারনেই নেকীগুলো বরবাদ হয়ে যায়। আর হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র দরবারে উচ্চস্বরে কথা বলার ফলে নেকীগুলো বরবাদ হয়ে যায়।
(মনে রাখতে হবে কোন ধরনের অন্যায় কাজের জন্য আমাদের আমলনামায় গুনাহ লিখা হয়; কিন্ত নেকি / সাওয়াব বরবাদ হয়না। শুধুমাত্র যদি কেউ কুফরী করে অর্থাৎ ঈমান হারা হয়ে যায় ; তবেই তার নেকি / সাওয়াবসমুহ বরবাদ হয়ে যায়।)
আল্লাহ-তায়ালা আমাদের সকলকে তাঁর হাবিবের শানে বে- আদাবী মূলক কার্যকলাপ থেকে হেফাজত করুন।এবং তাঁর হাবিবের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি করুন।
আমিন!
চলবে...
# সালতানাতে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তৃতীয় পর্ব।
স্বয়ং আল্লাহতালাই হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি আদাব শিক্ষাদানকারী।
মহান রাব্বুল আলামিন সারোয়ারে কায়েনাত, রাহমাতাল্লিল আলামিন, হুজুর পুর নুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র মহানতম শানপাক-এ বিন্দু পরিমান বেয়াদবি বরদাস্ত করেন না। তাই তিনি স্বয়ং বান্দাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন, কিভাবে তিনির হাবিব (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র খেদমতে আদাব বজায় রাখতে হয়।
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন - ياايهاالذين امنوا لا تقدموا بين يدى الله ورسوله واتقوا الله ان الله سميع عليم.
- হে ঈমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের আগে বাড়বে না এবং আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চই আল্লাহ সমস্ত কিছু জানেন ও শুনেন। ( সূরা - আল হুজরাতঃ আয়াত- ০১)
উপরোক্ত আয়াতের শানে নূযুলঃ
কিছু সংখক সাহাবী ঈদুল আযহার দিনে হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র পূর্বে, অর্থাৎ ঈদের নামাযের পূর্বে কোরবানি করে ফেলেছেন। কিছু সংখক সাহাবী রমযানের একদিন আগেই, অর্থাৎ হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রোযা শুরু করার পূর্বেই রোযা রাখা শুরু করে দিতেন। তাদের প্রসংগে এ আয়াত শরিফ অবতির্ণ হয়েছে।
উপরোক্ত আয়াত শরিফ থেকে কতিপয় মাসালা প্রতীয়মান হয়ঃ
১। হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি বেয়াদবি প্রদর্শন করা আল্লাহর প্রতি বেয়াদবি প্রদর্শন করার শামিল।
২। রাস্তায় চলা ও কথাবার্তা বলায় হুজুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র অগ্রবর্তী হওয়া নিষেধ।
৩। সম্মানিত কোন কিছুর দিকে পিঠ ফিরানো আদাবের খেলাফ। যেমনঃ কা'বাঘর, রাসুলে কারিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র রওজা শরিফ, কোরান শরিফ, কোন পীর, অলী, বুজুর্গ ব্যাক্তি, নবী -অলীগনের মাযার শরিফ বা সম্মানিত কোন স্থানের দিকে পিঠ না ফেরানো।
# আয়াতাংশে উল্লেখিত - "নিশ্চই আল্লাহ সমস্ত কিছু শুনেন ও জানেন" বাক্য দ্বারা সকল ঈমানদারগণকে সতর্ক করেছেন যে, "খবরদার! আমার হাবিবের প্রতি যেন কোন বে-আদবি না হয়, আমার রাসূলের দরবারে তোমাদের প্রতিটি কাজকর্ম ও ওঠাবসা আমি প্রত্যক্ষ করছি। তোমরা আমার হাবিবের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন কর।"
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তিনির হাবিবের প্রতি চিরন্তন আদাব ও ভালোবাসা দান করুন। আমিন!
চলবে...
# সালতানাতে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দ্বিতীয় পর্ব।
হুজুর পুর নূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি আদব প্রদর্শন করাই হলো ঈমানের স্তম্ভ।
মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরান শরীফে এরশাদ করেন-
لتئومنوا بالله ورسوله وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصىلا
অর্থাৎ, হে লোকসকল! তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর ঈমান আনো, এবং রাসূলের মহত্ব বর্ণনা ও (তার প্রতি)সম্মান প্রদর্শন করো,আর সকাল সন্ধা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষনা করো!(সূরা - ফাতাহঃ আয়াত-০৯)
এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তিনটি আদেশ দান করেছেন,
১। ঈমান আনো (আল্লাহ ও তিনির রাসুল সাঃ এর প্রতি)।
২। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মহত্ব বর্ণনা করো, এবং তিনির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো, অর্থাৎ আদব ও বিনয়ের সাথে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 'র সম্মুখীন হও।
৩। সকাল - সন্ধা আল্লাহর ইবাদত কর।
এখানে দেখা যাচ্ছে যে, 'ঈমানের' পরবর্তি অবস্থান হচ্ছে 'আদব' আর ইবাদতের অবস্থান হচ্ছে আদবের পরে। অর্থাৎ, ঈমান গ্রহন করার পর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি আদব ব্যাতিত কোন ইবাদতই আল্লাহর দরবারে কবুল হবেনা ; বরং আদব ব্যাতিত 'ঈমান'-ই আল্লাহর দরবারে গ্রহণীয় নয়। সুতরাং আদবই হচ্ছে ঈমানের মুল স্তম্ভ। আল্লাহ তায়ালা আমদেরকে তিনির রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি যথাযত আদব প্রদর্শন করার তাওফিক দান করুন।আমিন!
চলবে...
মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরান শরীফে এরশাদ করেন-
لتئومنوا بالله ورسوله وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصىلا
অর্থাৎ, হে লোকসকল! তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের উপর ঈমান আনো, এবং রাসূলের মহত্ব বর্ণনা ও (তার প্রতি)সম্মান প্রদর্শন করো,আর সকাল সন্ধা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষনা করো!(সূরা - ফাতাহঃ আয়াত-০৯)
এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তিনটি আদেশ দান করেছেন,
১। ঈমান আনো (আল্লাহ ও তিনির রাসুল সাঃ এর প্রতি)।
২। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর মহত্ব বর্ণনা করো, এবং তিনির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করো, অর্থাৎ আদব ও বিনয়ের সাথে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) 'র সম্মুখীন হও।
৩। সকাল - সন্ধা আল্লাহর ইবাদত কর।
এখানে দেখা যাচ্ছে যে, 'ঈমানের' পরবর্তি অবস্থান হচ্ছে 'আদব' আর ইবাদতের অবস্থান হচ্ছে আদবের পরে। অর্থাৎ, ঈমান গ্রহন করার পর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি আদব ব্যাতিত কোন ইবাদতই আল্লাহর দরবারে কবুল হবেনা ; বরং আদব ব্যাতিত 'ঈমান'-ই আল্লাহর দরবারে গ্রহণীয় নয়। সুতরাং আদবই হচ্ছে ঈমানের মুল স্তম্ভ। আল্লাহ তায়ালা আমদেরকে তিনির রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র প্রতি যথাযত আদব প্রদর্শন করার তাওফিক দান করুন।আমিন!
চলবে...
# সালতানাতে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম পর্ব।
দুনিয়াবি রাজা - বাদশাহগন তাদের দরবারের
আদব-কায়দা এবং দরবারে হাজির হওয়ার নিয়ম কানুন নিজেরাই প্রনয়ন
করেন,অর্থাৎ আমার দরবারে আসলে এভাবে দাঁড়াও, এভাবে কথা বল, এভাবে সালাম
কর ইত্যাদি এবং তাদের কর্মচারীদের মাধ্যমে প্রজাগণকে সেগুলো মানতে বাধ্য
করেন। যারা এসব নিয়ম কানুন মেনে চলে, বাদশা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হন এবং
যারা এর বিপরীত করে, তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন। তাদের এসব আইন-কানুন কেবল
মানুষের উপর প্রযোজ্য; জ্বীন, ফেরেশতা ও অন্যান্য জীব -জন্তুর উপর
প্রযোজ্য হয়না। কেননা এদের উপর দুনিয়ার রাজা-বাদশাদের কোন কর্তৃত্ব নেই।
তাছাড়া এসব আইন-কানুন বাদশা যতদিন জীবিত থাকেন, ততদিন পর্যন্ত বলবৎ থাকে।
বাদশা'র চোখ বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে দরবার শেষ এবং সমস্ত আইন-কানুনও বিলুপ্ত
হয়ে যায়। আবার গড়ে ওঠে নতুন দরবার,নতুন আইন-কানুন।
"এ দুনিয়াতে প্রত্যেকে এসে নতুন প্রাসাদ গড়ে তোলে, কিছুদিন পর সেটা ফেলে চলে যায়,আবার অন্যজন এসে সেটা আবাদ করে।"
আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিজগতের মধ্যে এমন একটি দরবার আছে যার আদব-কায়দা, হাজির হওয়া ও সালাম কালাম করার নিয়ম কানুন স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা প্রনয়ন করেছেন। স্বীয় সৃষ্টিকূলকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন- "হে আমার বান্দাগণ! যখন এ দরবারে আসবে তখন এ নিয়ম-কানুন মেনে চলবে। অন্যথায় তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।" সেটা এমন এক মহান শাহান শাহের দরবার যেখানে ফেরেশতাকূল বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করেনা, জ্বীন জাতি শির নত করে প্রবেশ করে, জীব- জন্তু সেই শাহান-শাহকে সেজদা করে, নিষ্প্রান পাথরের টুকরা, গাছ-পালা তারই কালেমা পড়ে এবং তারই নির্দেশে এগিয়ে আসে, চন্দ্র সূর্য তারই ইশারায় চলে, বৃষ্টি বর্ষিত হয়, বৃষ্টি বন্ধ হয়, মোটকথা আসমান যমিনের সমস্ত কিছু তার হুকুমের আওতাধীন।
সেই দরবারটি কার? কে সেই শাহান শাহ?
তিনি হাবীবুল্লাহ, উভয় জগতের মুখতার, শাহান শাহে কাওনাইন, শাফিউল মুজনাবীন, সারওয়ারে কায়েনাত, ফখরে মউজুদাত, ইমামুল মুরছালিন,খাতামুন নাবীইন, রাহমাতাল্লিল আলামিন, হুযুর পুর নূর হযরত আহমাদানিল মুজতবা, মুহাম্মাদানিল মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
চলবে...
(বিঃদ্রঃ উপরোক্ত বক্তব্য কারো মন গড়া নয়। এর কোরান ও হাদিস ভিত্তিক আলোচনা পরবর্তি পোস্টে পর্যায়ক্রমে পেশ করা হবে।)
"এ দুনিয়াতে প্রত্যেকে এসে নতুন প্রাসাদ গড়ে তোলে, কিছুদিন পর সেটা ফেলে চলে যায়,আবার অন্যজন এসে সেটা আবাদ করে।"
আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিজগতের মধ্যে এমন একটি দরবার আছে যার আদব-কায়দা, হাজির হওয়া ও সালাম কালাম করার নিয়ম কানুন স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা প্রনয়ন করেছেন। স্বীয় সৃষ্টিকূলকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন- "হে আমার বান্দাগণ! যখন এ দরবারে আসবে তখন এ নিয়ম-কানুন মেনে চলবে। অন্যথায় তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।" সেটা এমন এক মহান শাহান শাহের দরবার যেখানে ফেরেশতাকূল বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করেনা, জ্বীন জাতি শির নত করে প্রবেশ করে, জীব- জন্তু সেই শাহান-শাহকে সেজদা করে, নিষ্প্রান পাথরের টুকরা, গাছ-পালা তারই কালেমা পড়ে এবং তারই নির্দেশে এগিয়ে আসে, চন্দ্র সূর্য তারই ইশারায় চলে, বৃষ্টি বর্ষিত হয়, বৃষ্টি বন্ধ হয়, মোটকথা আসমান যমিনের সমস্ত কিছু তার হুকুমের আওতাধীন।
সেই দরবারটি কার? কে সেই শাহান শাহ?
তিনি হাবীবুল্লাহ, উভয় জগতের মুখতার, শাহান শাহে কাওনাইন, শাফিউল মুজনাবীন, সারওয়ারে কায়েনাত, ফখরে মউজুদাত, ইমামুল মুরছালিন,খাতামুন নাবীইন, রাহমাতাল্লিল আলামিন, হুযুর পুর নূর হযরত আহমাদানিল মুজতবা, মুহাম্মাদানিল মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।
চলবে...
(বিঃদ্রঃ উপরোক্ত বক্তব্য কারো মন গড়া নয়। এর কোরান ও হাদিস ভিত্তিক আলোচনা পরবর্তি পোস্টে পর্যায়ক্রমে পেশ করা হবে।)
# আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের কবরের উপর গুম্বুজ স্থাপন করা, তাদের মাযারের উপর সামিয়ানা টানানো, গিলাফ চড়ানো এবং ঝালর বাতি, প্রদ্বীপ ইত্যাদি জ্বালানো শরিয়ত মতে বৈধ বা জায়েজ ।
প্রশ্নঃ আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের
কবরের উপর গম্বুজ স্থাপন করা, তাদের মাযারের উপর সামিয়ানা টানানো, গিলাফ
চড়ানো এবং ঝালর বাতি ও প্রদ্বীপ ইত্যাদি জ্বালানো শরিয়ত মতে বৈধ / জায়েজ কি
?
উত্তরঃ আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের কবরের উপর গুম্বুজ স্থাপন করা, তাদের মাযারের উপর সামিয়ানা টানানো, গিলাফ চড়ানো এবং ঝালর বাতি, প্রদ্বীপ ইত্যাদি জ্বালানো শরিয়ত মতে বৈধ বা জায়েজ ।
দলিলঃ সূরা-তাওবার ১৮নং আয়াত اِنَّمَا یَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللّٰہِ এর তাফসীর করতে যেয়ে তাফসীরে রুহুল বায়ানের মধ্যে আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে-
فَبِنَاءَ الْقُبَّابِ عَلٰی قُبُوْرِ الْعُلَمَاءِ وَالْاَوْلِیَاءِ وَالصُّلَحَاءِ وَوَضَعَ السُّتُوْرَ وَالْعَمَاءِمِ وَالثِیَابِ عَلٰی قُبُوْرِہِمْ اَمْرٌ جَاءِزٌ اِذَا کَانَ الْقَصْدُ بِذٰلِکَ التَّعْظِیْمِ فِیْ اَعْیُنِ الْعَامَّۃِ حَتّٰی لَا یَحْتَقِرُوْا صَاحِبُ ہٰذَا الْقَبْرِ وَکَذَا اِیْقَادُ الْقَنَادِیْلٍ وَالشَّمْعِ عِنْدَ قُبُوْرٍ الْاَوْلِیَاءِ وَالصُّلَحَاءِ مِنْ بَابِ التَّعْظِیْمِ وَالْاِجْلَالِ اَیْضًا لِلْاَوْلِیَاءِ فَالْمَقْصُوْدُ فِیْہَا مَقْصَدٌ حَسَنٌ وَنَذَرَ الزَّیْتَ وَالشًّمْعَ لِلْاَوْلِیَاءِ یُوْقَدُ عِنْدَ قُبُوْرِہِمْ تَعْظِیْمًا لَہُمْ وَمُحَبَّۃً فِیْہِمْ جَاءِزٌ اَیْضًا لَا یَنْبَغِیْ النَّہِیَ عَنْہُ
[تفسیر روح البیان : (سورۃ : التوبۃ ایۃ : ۱۸) جلد ۳ /صفحۃ ۱۶۶۶/ہجری : ۱۴۲۶ ۱۴۲۷ 249 عسائی : ۲۰۰۶ / بیروت 249 لبنان ]
অর্থাৎ, আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের কবরের উপরে গুম্বুজ স্থাপন করা এবং সাধারণ লোকজন যেন মাযারস্ত আউলিয়াগণকে হীন মনে না করে, এই উদ্দেশ্যে তাঁদের মাযার সমূহে সামিয়ানা, পাগড়ী ও গিলাফ দ্বারা আবৃত করা (শরিয়ত মতে) বৈধ বা জায়েজ । অনুরুপভাবে সম্মান ও মর্যদা প্রদর্শনার্থে আউলিয়ায়ে কেরাম ও ছালেহীন গনের মাযারের উপর ঝালর বাতি লটকানো ও প্রদ্বীপ জ্বালানো জায়েজ । কেননা এ কাজের উদ্দেশ্য মহৎ । আউলিয়া কেরামের মাযারে জ্বালানোর উদ্দেশ্য তৈল ও প্রদিপ মান্নত করাও জায়েজ । কেননা, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মাযারের অলিগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তাঁদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন । এই কাজে নিষেধ করা বা বাধা দেয়া অনুচিৎ । তাফসীরে রুহুল বায়ানঃ (সূরা - আত্ তাওবাঃ আয়াত - ১৮) ৩য় খণ্ড, ১৬৬৬ পৃষ্ঠা, (১৮২৬ – ২৭ হিজরী, ২০০৬ খৃষ্টাব্দ, বাইরুত, লেবানন ছাপা)।
উত্তরঃ আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের কবরের উপর গুম্বুজ স্থাপন করা, তাদের মাযারের উপর সামিয়ানা টানানো, গিলাফ চড়ানো এবং ঝালর বাতি, প্রদ্বীপ ইত্যাদি জ্বালানো শরিয়ত মতে বৈধ বা জায়েজ ।
দলিলঃ সূরা-তাওবার ১৮নং আয়াত اِنَّمَا یَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللّٰہِ এর তাফসীর করতে যেয়ে তাফসীরে রুহুল বায়ানের মধ্যে আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে-
فَبِنَاءَ الْقُبَّابِ عَلٰی قُبُوْرِ الْعُلَمَاءِ وَالْاَوْلِیَاءِ وَالصُّلَحَاءِ وَوَضَعَ السُّتُوْرَ وَالْعَمَاءِمِ وَالثِیَابِ عَلٰی قُبُوْرِہِمْ اَمْرٌ جَاءِزٌ اِذَا کَانَ الْقَصْدُ بِذٰلِکَ التَّعْظِیْمِ فِیْ اَعْیُنِ الْعَامَّۃِ حَتّٰی لَا یَحْتَقِرُوْا صَاحِبُ ہٰذَا الْقَبْرِ وَکَذَا اِیْقَادُ الْقَنَادِیْلٍ وَالشَّمْعِ عِنْدَ قُبُوْرٍ الْاَوْلِیَاءِ وَالصُّلَحَاءِ مِنْ بَابِ التَّعْظِیْمِ وَالْاِجْلَالِ اَیْضًا لِلْاَوْلِیَاءِ فَالْمَقْصُوْدُ فِیْہَا مَقْصَدٌ حَسَنٌ وَنَذَرَ الزَّیْتَ وَالشًّمْعَ لِلْاَوْلِیَاءِ یُوْقَدُ عِنْدَ قُبُوْرِہِمْ تَعْظِیْمًا لَہُمْ وَمُحَبَّۃً فِیْہِمْ جَاءِزٌ اَیْضًا لَا یَنْبَغِیْ النَّہِیَ عَنْہُ
[تفسیر روح البیان : (سورۃ : التوبۃ ایۃ : ۱۸) جلد ۳ /صفحۃ ۱۶۶۶/ہجری : ۱۴۲۶ ۱۴۲۷ 249 عسائی : ۲۰۰۶ / بیروت 249 لبنان ]
অর্থাৎ, আউলিয়া কেরাম, ছালেহীন ও ওলামাগণের কবরের উপরে গুম্বুজ স্থাপন করা এবং সাধারণ লোকজন যেন মাযারস্ত আউলিয়াগণকে হীন মনে না করে, এই উদ্দেশ্যে তাঁদের মাযার সমূহে সামিয়ানা, পাগড়ী ও গিলাফ দ্বারা আবৃত করা (শরিয়ত মতে) বৈধ বা জায়েজ । অনুরুপভাবে সম্মান ও মর্যদা প্রদর্শনার্থে আউলিয়ায়ে কেরাম ও ছালেহীন গনের মাযারের উপর ঝালর বাতি লটকানো ও প্রদ্বীপ জ্বালানো জায়েজ । কেননা এ কাজের উদ্দেশ্য মহৎ । আউলিয়া কেরামের মাযারে জ্বালানোর উদ্দেশ্য তৈল ও প্রদিপ মান্নত করাও জায়েজ । কেননা, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মাযারের অলিগণের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা ও তাঁদের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন । এই কাজে নিষেধ করা বা বাধা দেয়া অনুচিৎ । তাফসীরে রুহুল বায়ানঃ (সূরা - আত্ তাওবাঃ আয়াত - ১৮) ৩য় খণ্ড, ১৬৬৬ পৃষ্ঠা, (১৮২৬ – ২৭ হিজরী, ২০০৬ খৃষ্টাব্দ, বাইরুত, লেবানন ছাপা)।